প্রতিদিনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার টিপস।
মানুষ কিভাবে সুস্থ থাকব এবং এই নিয়ে বিভিন্ন ধরনের টিপস নিয়ে আমি হাজির হয়েছি আজকের কনটেন্টে। আস্তে আস্তে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে মানুষ সারা জীবন সুস্থ থাকতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য আমাদেরকে যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হয় তেমনি শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়। আজ সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে আসা করি উপকৃত হবেন ।
কনটেন্ট সূচিপত্র : প্রতিদিনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার টিপস।
- স্বাস্থ্যকর অভ্যাস সুস্থ থাকার জন্য ঘুম।
- সুস্থ থাকার জন্য সকালের খাবার তালিকা।
- স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য দুপুরের খাবার।
- স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম।
- স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য পানি।
- ইনস্ট্যান্ট এনার্জির জন্য আমরা কি খেতে পারি।
- স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য রাতের খাবার।
- প্রাকৃতিক আলো এবং তাজা বাতাসে সময় কাটানো
- শেষ বিশ্লেষণ: আপনার স্বাস্থ্য আপনার হাতে, তাই আজ থেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিন এবং ভবিষ্যতকে সুস্থতার পথে নিয়ে যান।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস সুস্থ থাকার জন্য ঘুম:
আমরা সবাই "Early to bed and early to rise, makes a man healthy, wealthy, and
wise" এই জনপ্রিয় প্রবাদটি শুনেছি এই প্রবাদটি লিখেছেন আমেরিকান পলিম্যাথ এবং
লেখক বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন। এটি তাঁর "Poor Richard's Almanack" নামক বইতে
প্রকাশিত হয়।
আমাদের সকলের খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা উচিত। তা বলে এই না যে
৭-৮ ঘন্টার কম ঘুমাবো। আমরা তাড়াতাড়ি ঘুমাবো এবং তাড়াতাড়ি উঠবো।
বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের সকলের ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
আমরা সবাই
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাবো। কারণ ঘুম আমাদেরকে সারাদিনের কাজের জন্য এনার্জি দিবে।
এতে করে আমরা সারাদিন ক্লান্তিহীন ভাবে কাজ করতে পারব।
সঠিকভাবে ঘুমানোর
প্রক্রিয়া হচ্ছে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে
ওঠা।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী রাতে এশার নামাজ পড়ে ঘুমাতে হবে এবং সুবহে সাদিক
বা ফজরের আগ মুহূর্তে উঠতে হবে।
ঘুম শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ
এটি আমাদের শরীর এবং মনকে পুনরুজ্জীবিত করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনি শারীরিক
এবং মানসিকভাবে দুর্বল বোধ করি। তাই আমাদের উচিত পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা।
সুস্থ থাকার জন্য সকালের খাবার তালিকা:
আমাদের সকলের জন্য সকলের খাবার কি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু
আমরা এই ব্যাপারে উদাসীন থাকি। বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক রোগে ভুগি। সকালের
খাবার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।সারাদিনের জন্য শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি
ও পুষ্টি সরবরাহ করে। সকালের খাবার শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মস্তিষ্কের
কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
সকালে আমরা চয়া সিট
খেতে পারি চিয়া সিড আমাদের পেট ভরা রাখতে এবং এটি খাবার হজম
করতে উন্নত সাহায্য করে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
বাদাম (যেমন, আখরোট, কাজু)। বাদাম ও বীজ শরীরের
জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সরবরাহ করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
কালিজিরা আমাদের স্বাস্থ্যকর ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। সকালে
কালিজিরা খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,
হজমশক্তি উন্নত করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
সুস্থ থাকার জন্য মধু খুবই
কার্যকরী উপাদান । সকালে মধু খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী কারণ মধুতে আছে
ভিটামিন জিংক কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বি১, বি২, বি৩,
বি৫, বি৬, আয়োডিন ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। তাছাড়া মধু আমাদের সারাদিনের
কাজের শক্তি প্রদান করে।
আমরা চাইলে সকালে বিভিন্ন মৌসুম ফল
খেতে পারি। ফল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যখন যে সময়ে যে ফলটি আসে তখন সে
ফলটি খাওয়া উত্তম। কিন্তু ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত পরিমাণে ফল গুলো
খেতে হবে। পরিমাণের চেয়ে খুব বেশি ফল খাওয়া শরীরের জন্য উপযোগী নয়।
আমরা বাঙালিরা সকালের জন্য ডিম কলা ও রুটি খেতে পছন্দ করি। এক্ষেত্রে
সকালের জন্য ডিম, কলা, রুটি খাওয়া যেতে পারে।
কারণ ডিমে রয়েছে
ভিটামিন বি১২, বি৬, ডি, এবং এ আছে, যা মস্তিষ্ক ও হাড়ের জন্য ভালো।
ডিম
প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা পেশি গঠনে সহায়ক।
কলাতে পটাশিয়াম আছে। যা রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণ এবং পেশি কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কলায় প্রচুর ফাইবার
থাকে, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক।কলা দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে সহায়ক
কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস।কলাতে ভিটামিন সি আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধিতে সহায়ক।
রুটিতে কার্বোহাইড্রেট আছে : রুটি শক্তি প্রদানের
জন্য গুরুত্বপূর্ণ কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে। বিশেষ করে মাল্টিগ্রেইন বা ব্রাউন
ব্রেডে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়ক এবং রক্তে শর্করার মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে রাখে। রুটিতে ভিটামিন বি (বি৬ এবং বি৯) থাকে, যা শক্তি উৎপাদনে
সাহায্য করে। রুটিতে আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্ত সঞ্চালন এবং হাড়ের
স্বাস্থ্য উন্নত করে।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য দুপুরের খাবার।
যেহেতু আমরা বাঙালি তাই আমাদের ভাত ছাড়া চলে না সে ক্ষেত্রে আমরা দুপুরে পরিমাণ
মতো ভাত খেতে পারি। কিন্তু পরিমাণের চেয়ে ভাত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ভাতে আছে কার্বোহাইড্রেট যা শরীরকে শক্তি প্রদান করে।পভাতে কিছু
পরিমাণ প্রোটিন থাকে, যা পেশি গঠন ও সার্বিক শারীরিক কার্যক্রমের জন্য জরুরি।
ভাতে ভিটামিন বি (যেমন, থায়ামিন এবং রাইবফ্লাভিন) এবং কিছু পরিমাণ ভিটামিন ই
থাকে। ভাতে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রনের মতো মিনারেলস পাওয়া যায়। বিশেষ
করে ব্রাউন রাইস বা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ চাল থেকে তৈরি ভাতে বেশি ফাইবার
থাকে। তবে পরিমাণ এর চেয়ে বেশি ভাত খাওয়া শরীরের জন্য মোটেই ভালো না।
আমরা
যদি পরিমান মত ভাত খেতে পারি তাহলে এটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হবে।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য দুপুরে দিন খাওয়া যেতে
পারে। ডিম রান্না করতে যেমন সহজ নিয়েতে আছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য দুপুরে সবজি খাওয়া
যেতে পারে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমে সবজি পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য
খুবই উপকারী।
সবজিতে আছে ভিটামিন,সমিনারেলস,ফাইবার,
এন্টিঅক্সিডেন্ট,কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং পানি যা আমাদের দেহ ঘটন রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার
জন্য দুপুরে মাছ খাওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমরা মাছ খুবই পছন্দ
করি। এই কারণেই আমাদেরকে মূলত মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয়। তাছাড়া মাছে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাট অ্যাসিড, ভিটামিন ড, ভিটামিন B12,
মিনারেলস, জিঙ্ক, ফসফরাস, এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
স্বাস্থ্যকর
অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য দুপুরে গরু, খাসি বা মুরগির মাংস খাওয়া যেতে
পারে কারণ অনেকেই মাছ পছন্দ করেন না। তাছাড়াও বর্তমানে মাছের দাম অনেক
ঊর্ধ্বগতি। অনেকেই মাংস খেতে পছন্দ করেন মুরগির এবং গরুর মাংসের বিভিন্ন ধরনের
পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
মুরগির মাংসে প্রোটিন,ভিটামিন B3 (নিয়াসিন),ভিটামিন
B6, ভিটামিন B12, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন। গরুর মাংসে প্রোটিন, ভিটামিন
B12, ভিটামিন B6, ভিটামিন B3, জিঙ্ক, আয়রন, ফসফরাস, সেলেনিয়াম।
গরুর মাংসে প্রোটিন, ভিটামিন B12, ভিটামিন B6, ভিটামিন B3,
(নিয়াসিন),জিঙ্ক, আয়রন, ফসফরাস, সেলেনিয়াম ইত্যাদি উপাদান থাকে।
খাসির মাংসে প্রোটিন, ভিটামিন B12, ভিটামিন B6, জিঙ্ক, আয়রন,ফসফরাস,
সেলেনিয়াম, কোলিন ইত্যাদি পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য পানি
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। আমাদের দেহের প্রায় ৬০ শতাংশ পানি গঠিত তাছাড়াও আমাদের মস্তিষ্ক ৭৫ শতাংশ পানি দ্বারা গঠিত। আমাদের প্রতিদিনের কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করতে এবং শরীরে জন্য (পুরুষের জন্য প্রায় ৩.৭ লিটারমহিলার জন্য প্রায় ২.৭ লিটার পানি পান করতে হবে। পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে আমাদের শরীর সঠিকভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারে।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম।
শারীরিক পরিশ্রম আমাদের শরীরের মনকে খুবই ভালো রাখে প্রতিদিন আমাদের ৩০ মিনিট
থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত। এর দ্বারা যেমন
আমাদের দেহ গঠন এবং বৃদ্ধি সাধন হয় তেমন আমাদের মন বা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো
থাকে। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে উপদেশ দেন। কারণ ব্যায়াম
আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এর দ্বারা আমরা বিভিন্ন রকম রোগ থেকে রক্ষা পাই।
বেমের মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন উপকার হয় যেমন: দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ
কমানো, মাসল ও হাড়ের শক্তি, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, ভালো ঘুম, রক্ত সঞ্চালন
বৃদ্ধি, শারীরিক শক্তির উন্নতি এবং ধৈর্য বৃদ্ধি।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য রাতের খাবার।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস - সুস্থ থাকার জন্য রাতের খাবারের গুরুত্ব
অপরিসীম। যদিও আমরা রাতের খাবারের ব্যাপারে উদাসীন। তবুও আমাদের রাতের খাবারও
গুরুত্ব দিতে হবে। রাত আটটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে ফেলা উচিত। এবং ৯ টার মধ্যে
ঘুমাতে যাওয়া উচিত। রাতে কখনো ভারী খাবার খাওয়া উচিত না। এর দ্বারা শরীরের
ঘুমের সমস্যা হতে পারে। রাতে আমরা সর্বদা হালকা খাবার খেতে পারি। রাতে কফি, গ্রিন
টি, চা ইত্যাদি খাওয়া উচিত নয়। এগুলো খেলে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত করতে পারে।
রাতে রুটি, মাছ, সবজি ইত্যাদি খাবার খাওয়া যেতে পারে। দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে
রাতের খাবার খেতে হবে। রাতের খাবারকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে তা না হলে পরবর্তী
সময়ে আমাদেরকে সারারাত ভালোভাবে ঘুমাতে ব্যাঘাত ঘটবে। রাতের খাবারের নিয়ম না
মানলে আমাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে যা আমাদের পরবর্তী দিনে কাজ কর্মের সমস্যা
হতে পারে।
ইনস্ট্যান্ট এনার্জির জন্য আমরা কি খেতে পারি।
অনেক সময় দেখা যায় আমরা কাজের মাঝে ক্লান্ত অনুভব করি। ইনস্ট্যান্ট
এনার্জি দরকার অনুভব করি। এক্ষেত্রে আমরা যদি গ্রীন টি, মধু, কলা, বাদাম ইত্যাদি
খাই তাহলে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি পাব। ব্ল্যাক কফি আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ব্ল্যাক কফি খেলে নিদ্রার ভাব দূর করে। এর দ্বারা অনেকক্ষণ কাজ করা যায়।
ব্লাক কফি শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত ব্ল্যাক কফি খাওয়া উচিত নয়। এতে
নিদ্রার ক্ষতি হতে পারে। প্রতিদিন এক থেকে দুই কাপ ব্লাক কফি খাওয়া যেতে পারে।
কাজের অনীহা আসলে বা এনার্জি না থাকা অবস্থায় ব্লাক কফি আমাদের এনার্জির
জন্য খুবই উপকারী।
প্রাকৃতিক আলো এবং তাজা বাতাসে সময় কাটানো
আমরা মানুষ সব সময় হাস মতো থাকেনা এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক আলো বাতাস শরীর ও
মনের জন্য যখন আমাদের মন ভাল থাকে না আমরা যদি প্রাকৃতিক আলোতে যাই আমাদের মন
ভালো হয়ে যায় এবং আমরা আজ অনেক এনার্জি ফিল করি আমাদের প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে
এক ঘন্টা আলো বাতাসের মধ্যে থাকা উচিত বিশেষ করে রোদে থাকতে হবে এর দ্বারা শরীরের
প্রকার হয় কারণ রয়েছে সূর্যের আলোতে রয়েছে ভিটামিন, ডিসারোটোনিন,
মেলাটোনিন, এন্ডরফিন এবং শক্তি ও জীবনীশক্তি বৃদ্ধি। তবে খুব বেশি কোন সূর্য আছে
থাকা উচিত নয় এতে তোকে সমস্যা হতে পারে সঠিক উপায়ে সময় পর্যন্ত ঢাকা উত্তম
আমরা বিকাল বেলায় মনোরম পরিবেশে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারি এর দ্বারা আমাদের
মন ভালো থাকবে এবং সুস্থ থাকবে।
শেষ বিশ্লেষণ: আপনার স্বাস্থ্য আপনার হাতে, তাই আজ থেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিন এবং ভবিষ্যতকে সুস্থতার পথে নিয়ে যান।
আমরা সবাই সুস্থ শরীর এবং মন চাই। আমাদের সবার উচিত সুস্থ থাকার জন্য নিজেকে সকল প্রচেষ্টায় রাখা। সবাই সুস্থ থাকি। সব রকম নিয়ম মেনে চলি। শরীরের জন্য যেসব খাবার ক্ষতিকর, সে খাবারগুলো পরিহার করি। দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন এমন খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করি। সব খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করি। ক্ষতিকারক এমন কোন খাবার পরিহার করি। কিছু বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। প্রয়োজন অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিজেকে ভালোবাসবো, নিজের দেশকে ভালোবাসবো, সুন্দর পরিবেশ গঠন করব, এটা আমাদের জীবন আমরা সকলেই সবার সুস্থতা কামনা করি।
if practiced daily, this will have a magnificent compound effect...insallah