মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম ।

 আমরা সারাদিন দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। মোবাইল ফোন আমাদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মোবাইলের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন কাজ করি, তাছাড়াও মোবাইলের মাধ্যমে আনন্দ বা বিনোদন নিয়ে সময় পার করি।  বর্তমানে আমরা যারা শিক্ষার্থী, গৃহিণী, শ্রমজীবী ইত্যাদি সবাই চাই ইনকাম করতে। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আমরা ফ্রিল্যান্সিং  এর মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারি এখন যদি আমি বলি মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা যায় তাহলে কি অবাক হবেন? না অবাক হবার কোন কারণ নাই। কারণ বর্তমানে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব কিন্তু মোবাইল দিয়ে যে আপনি খুব বেশি ইনকাম করতে পারবেন বিষয়টা তেমন না। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট এমাউন্টে ইনকাম সম্ভব হলেও, প্রফেশনাল কাজ চিরস্থায়ী কাজগুলা করতে হলে আপনার  কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে  করা উত্তম। যদিও মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটা মাধ্যম। আজ আমরা মোবাইলে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এই নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আপনারা শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন।


পেজ সূচিপত্র : মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম ।


ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং কেন করা হয় 

Free মানে মূলত স্বাধীন বোঝানো  হয় lance  মানে বোঝানো হয় ভাড়াটে সৈনিক।  মধ্যযুগের যারা ভাড়াটে সৈনিক  হিসেবে কাজ করতো। তাদেরকে বিভিন্ন কাজ দেওয়া হতো এবং সেই পরিমাণে অর্থ প্রদান করা হতো। ফ্রিল্যান্সিং মূলত ভাড়ায় কাজ করার মতো। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এ ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। বর্তমানে অনলাইনে জগতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন চুক্তিভিত্তিক কাজ করা হয়৷ মূলত ফিন্যান্সিং এই ক্ষেত্রে তাদেরকে নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হয় এবং সে পরিমাণে অর্থ প্রদান করা হয়। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্কিল এর উপর নির্ভর করে পারিশ্রমিক নির্ধারিত করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং শব্দটা খুবই জনপ্রিয়। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষ কাজ প্রোভাইড করে এবং যারা স্কিল ফুল  মানুষ তারা সে কাজটি গ্রহণ করে এবং পারিশ্রমিক পাই।  ফিন্যান্সিং মূলত মুক্ত পেশা।  

আরও পড়ুন : অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার কিছু কার্যকরী উপায়

ধরুন কারো লোগোর প্রয়োজন সে তার কোম্পানির জন্য লোগো বানাতে চাই।  এক্ষেত্রে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে যেমন ফাইভারডটকম বা আপাওয়ার্কডটকম ইত্যাদি বিভিন্ন মার্কেট প্রেসে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ডিজাইনার কে হায়ার করে। এক্ষেত্রে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য সহ সকল বিষয় তুলে ধরে এবং ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টের  প্রয়োজন অনুযায়ী সেই লোগোটি বানিয়ে দেয় এটি মূলত চাহিদা অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করার মত। যার চাহিদা আছে চাইবে যার ক্ষমতা আছে এবং যার স্কিল আছে ওই কাজটি অর্থের বিনিময় করে দেবে।  

আরও পড়ুন :অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার কিছু কার্যকরী উপায়

ফ্রিল্যান্সিং মূলত স্বাধীন পেশা। ফ্রিল্যান্সিং করা হয় মূলত নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজের জন্য। যাদের কম্পিউটার জ্ঞান বা নির্দিষ্ট স্কিল আছে তারা তাদের ঘরের বসে ইনকাম করতে পারে। এবং দেশের জন্য ডলার ইনকাম করতে পারে। দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। অন্য মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারে। আমরা ইতিমধ্যেই জানি অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং কোম্পানি রয়েছে। যারা তাদের স্ক্রিলের বিনিময় দেশের মানুষের কর্মসংস্থান দিতে পেরেছে। তাছাড়াও বর্তমানে দেশের চাকরির খুবই লাজুক অবস্থা। অনেক স্কিলফুল ছাত্র ছাত্রীরা চাকরির অভাবে ঘুরাঘুরি করে। তাছাড়াও যারা চাকরি পছন্দ করে না তাদের জন্যই ফ্রিল্যান্সিং। কারণ তারা তাদের নিজের ইচ্ছামত কার্য সম্পাদন করতে পারে। এবং অর্থের বিনিময়ে তারা চাইলে আরো কয়েকটি মানুষের আয়ের উৎস হতে পারে। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় 

বর্তমানে একটি জনপ্রিয় কাজ। আমরা অনেকেই জানিনা যে মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব। বর্তমানে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়েই সম্ভব। মাত্র ৪ জিবি র‍্যামের যদি ফোন হয় তাহলেই সে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।  

আরও পড়ুন : ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ 

মোবাইল দিয়ে বিভিন্নভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে যেমন :

  • মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং। 
  • মোবাইল দিয়ে আর্টিকেল রাইটিং।
  • মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন।
  • মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং।
  • মোবাইল দিয়ে ড্রপ শিপিং। 
  • মোবাইল দিয়ে ইউটিউব মার্কেটিং। 
  • মোবাইল দিয়ে কোর্স ক্রয় বিক্রয়।
  • মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং।
  • মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং। 
  • মোবাইল দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ মার্কেটিং।
  • মোবাইল দিয়ে ইমেইল মার্কেটিং। 
  • মোবাইল দিয়ে টাইপিং জব।
  • মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রির কাজ।
  • মোবাইল দিয়ে সার্ভে করে ইনকাম।

মোবাইলে  ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কেমন ধরনের মোবাইল প্রয়োজন হয়।

আমরা সবাই মনে করি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য অনেক ভালো কনফিগারেশন এর মোবাইল দরকার। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। সাধারণ মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। যদি চার জিবি র‍্যাম হয় তাহলে সে মোবাইল ফোন দিয়ে সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। তাছাড়াও বর্তমানে অনেক পাওয়ারফুল মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। যেগুলো মোটামুটি ১৫ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া সম্ভব। সেসব মোবাইল ফোনগুলোতে ৪ জিবি র‍্যাম থেকে ৮ জিবি র‍্যাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। মোটামুটি ভালো মানের মোবাইল ফোনেই ফ্রিল্যান্সিং করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অপটিমাইজেশনের ক্ষমতা ভালো থাকলেই চলে। তাছাড়াও ব্রাউজারে ডেক্সটপ মুড করলে মোবাইল ফোনের দ্বারা প্রায় সব কাজ করা যায়। 
 
 
এক্ষেত্রে কাজটি সহজ হয়ে থাকে। যেমন  ক্রোম ব্রাউজার এ ডেক্সটপ মুড অন করলে স্বাভাবিক ল্যাপটপে যেরকম দেখতে লাগে ঠিক তেমনি দেখতে মনে হয়। এক্ষেত্রে তেমন কোন পার্থক্য থাকেনা। তাছাড়াও মোবাইল ফোনের স্ক্রিন ছোট থাকার জন্য এটাকে অসুবিধা মনে হলেও বর্তমানে অনেক ট্যাব রয়েছে যেগুলো স্ক্রিনটা বড় হয়ে থাকে। তাছাড়াও বর্তমানে মোবাইল ফোনের অ্যাপস অপটিমাইজেশন অনেক ভালো থাকার কারণে। মোবাইল ফোনের দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব হয়ে উঠেছে।আগে যেমন মানুষ মনে করত মোবাইল দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং হয় না ফিন্যান্সিং করতে শুধু কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের প্রয়োজন। স্বাচ্ছন্দে মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য বর্তমানে 
  • ইউটিউব অ্যাপস   
  • ইন্সটাগ্রাম অ্যাপস  
  • লিংকড-ইন অ্যাপস
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড অ্যাপস
  • মাইক্রোসফট এক্সেল অ্যাপস 
  •  পাওয়ার পয়েন্ট অ্যাপস 
  • বিং অ্যাপস
  • চ্যাট জিপিটি অ্যাপস ইত্যাদি।  
যেগুলো মোবাইল ফোন দিয়েই কাজ করারজন্য সুন্দরভাবে কাস্টমাইজেশন করা থাকে। এতে করে মোবাইলে সুন্দরভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব হয়।  
 

শিক্ষার্থীদের জন্য মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহায়তা আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url