হাতের লেখা আকর্ষণীয় করার ৭ টি গোপনীয় টিপস

 আমাদের সকলের কাছে হাতের লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাতের লেখা যদি সুন্দর হয় তাহলে এর দ্বারা শিক্ষকের কাছে ভালো ব্যক্তিত্ব  প্রকাশ পায়। যার মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্খিত ফলাফলটি পেতে পারি। হাতের লেখা ভালো করতে চাই না, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম।



 মূলত সুন্দর হাতের লিখার মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। মূলত হাতের লেখা ভালো হলে সবার কাছে এটার গ্রহণযোগ্যতা বেশি হয়। তাই আজকে আমরা জানবো হাতের লেখা সুন্দর করার গোপনীয় টিপস। যে টিপসগুলো মানলে আপনিও আপনার হাতের লেখা আকর্ষণীয় করতে পারবেন। এবং আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন। 

পেজ সূচিপত্র 

হাতের লেখা সুন্দর করতে কলম ধরার সঠিক কৌশল

  • কলমের উপর অতিরিক্ত চাপ দিয়ে লেখা বর্জন করতে হবে। আমরা অনেকেই আছি যারা কলমের উপর অধিক চাপ দিয়ে লিখতে পছন্দ করি। কিন্তু এর দ্বারা লেখা একটি নির্দিষ্ট সময় পরে আর ভালো হয় না। সুন্দর লিখার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কলম কে হালকা করে ধরা।
  •  অধিক পরিমাণের চাপ প্রদান না করা। স্বাভাবিক ভাবে কলম ধরা, অতিরিক্ত চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকা।   অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা কলম দূরে ধরি। কলম দূরে ধরার কারণে লেখা সুস্পষ্ট হয় না। এক্ষেত্রে কলমের নিবের কাছাকাছি ধরে লেখায় উত্তম এর দ্বারা ভালো ভাবে লেখা সম্ভব।
  •  কলমের নিব ধরার ক্ষেত্রে এটি আরামদায়ক ভাবে ধরতে হবে। আঙ্গুলের অবস্থান গুলো ঠিকমতো রাখতে হবে। কলমের নিবের কাছাকাছি ধরলেও সেটা খুব শক্তভাবে ধরা যাবে না। কলম ধরে অন্যতম আরো একটি সঠিক মাধ্যম হচ্ছে সঠিকভাবে কব্জির ব্যবহার। 
  • মূলত কব্জির ব্যবহারটা যদি সঠিক থাকে তাহলে লেখা ভালো করা সম্ভব। সব সময় আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে লিখলে হাতের লেখা খারাপ হয়ে যেতে পারে। হাতে লেখা ভালো করতে কব্জির ব্যবহার করতে হবে। প্রথম দিকে একটু কষ্ট মনে হলেও আস্তে আস্তে এটা ঠিক হয়ে যাবে।
  •  মূলত কব্জির ব্যবহারের দ্বারা লেখার গতি বৃদ্ধি পায় লেখাগুলো সুস্পষ্ট করা যায় । কলম ধরার ক্ষেত্রে ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল করে লিখলে ভালো হবে।  আপনি যদি কলমটি ৪৫ ডিগ্রি কোণের মতো করে লিখেন তাহলে লিখাটি ভালোভাবে সম্পাদন করতে পারবেন।

 হাতের লেখা আকর্ষণীয় করতে অক্ষর গুলো  সঠিকভাবে লিখতে শিখা

হাতের লেখা আকর্ষণীয় করতে অবশ্যই আমাদেরকে অক্ষরগুলো সঠিকভাবে লিখতে শিখতে হবে। কোন অক্ষরটি কেমন সেটা ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং সেই অনুযায়ী লিখতে হবে। বাংলা লেখার ক্ষেত্রে ব্যঞ্জনবর্ণ এবং স্বরবর্ণ রয়েছে। অনেক অক্ষর  রয়েছে যেগুলি লেখা সহজ। 
 আবার অনেক অক্ষর রয়েছে যেগুলি লেখা কঠিন। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে বর্ণগুলো লেখা শিখতে হবে।মূলত স্বরবর্ণ হোক বা ব্যঞ্জনবর্ণ বর্ণগুলো  সঠিক সাইজ অনুযায়ী লিখতে হবে। যেমন ক লিখতে এক রকম হলেও হ লিখতে অন্যরকম হয়। এক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী লেখা শিখতে হবে। 


 বাজারে লেখার বিভিন্ন বই পাওয়া যায়। ওই বইগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে কিছু কিছু বই আছে যেখানে  বর্ণগুলির উপরে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লিখলে নির্দিষ্ট একটা সাইজ আসবে। এবং লেখা সুন্দর হবে। 

হাতের লেখা আকর্ষণীয় করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাঁকা জায়গা রাখা 

  • হাতের লেখা সুন্দর করতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাঁকা জায়গা রাখা জরুরী। যদি  লেখার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাঁকা জায়গা না রাখেন। তাহলে লেখাটি দেখতে ভালো লাগবে না। সে ক্ষেত্রে আপনি প্রত্যেকটি শব্দের মাঝে একটি বা দুইটি বর্ণ হবে এমন জায়গা ফাঁকা রাখুন। 
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে লেখাগুলো ফাঁকা রাখতে চাইলে, এক্ষেত্রে আপনি পৃষ্ঠার চারিদিকে মার্জিন ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি পেন্সিলের দ্বারা মার্জিন দিতে পারেন। তাহলে লেখাটি নির্দিষ্ট জায়গায় থাকবে এবং  সুন্দর লাগবে। 
  • প্রতিটি লাইনের মাঝে এক পয়েন্ট পাঁচ ১.৫ ইঞ্চি করে ফাঁকা জায়গা রাখুন। তাহলে লেখাটি খুব বেশি গাদা গাদি হবে না। লেখাটি দেখতে সুন্দর লাগবে, সহজ ভাবে বুঝতে সহযোগিতা করবে। 
  • লেখায় যদি অনেকগুলো অনুচ্ছেদ থাকে। তাহলে অনুচ্ছেদ গুলোর মাঝে দুই লাইনের মত ফাঁকা জায়গা  রাখুন । তাহলে এটা বুঝতে সহযোগিতা করবে যে এখানে দুইটি অনুচ্ছেদ দ্বারা পৃথক করা রয়েছে। 

হাতের লেখা আকর্ষণীয় করতে কাটাকাটি বা ঘষামাজা বর্জন করা

  • আমরা অনেকেই আছি যারা লেখার মাঝে অনেক বেশি কাটাকাটি করি। কিন্তু কাটাকাটি এবং ঘষামাজের কারণে লিখাটি খারাপ হয়ে যায়। যা পাঠকদের কাছে লেখাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে না। এক্ষেত্রে আমরা প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিসের মাধ্যমে লেখাতে ঘষামাজা কাটাকাটি বর্জন করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি।  
  • যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ কাগজে কোন কিছু লিখতে হয়। যেমন ধরুন ব্যাংকের কোন ডকুমেন্ট বা সার্টিফিকেটে বা সরকারি কোন কাজে যখন আমরা কোন কিছু লিখি।  সে ক্ষেত্রে আমাদের উচিত সেটার খসড়া ভাবে অন্য একটি পেজে লিখে ফেলা। তারপর পরবর্তীতে আস্তে ধীরে সব কিছু দেখে  তথ্যগুলো লেখা এর দ্বারা কাটাকাটি বর্জন করা সম্ভব। 
  • আবার পরীক্ষার খাতায় লেখার সময় আগেই ভেবেচিন্তে আস্তে ধীরে লিখলে তাহলে কাটাকাটি বর্জন করা যাবে। তাছাড়াও, কলমের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে কাটাকাটি হ্রাস করা সম্ভব। লেখার সময় লেখা মোছার ক্ষেত্রে  সঠিক ইরেজার ব্যবহারের মাধ্যমে লেখার ঘষামাজা হ্রাস করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ইরেজারটা নমনীয় হওয়া জরুরি। 

প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক চেয়ার এবং টেবিল ব্যবহার করা 

  • সঠিকভাবে চেয়ার এবং টেবিল নির্বাচন করুন, এক্ষেত্রে সঠিক উচ্চতা মেইনটেইন করতে হবে। টেবিলের উচ্চতা এমন রাখতে হবে, যেন টেবিলে হাত দেওয়ার ক্ষেত্রে ৯০ ডিগ্রী কোণ আকারে থাকে। মূলত এভাবে আরাম দেয় ভাবে লিখা সম্ভব। 
  • এর মাধ্যমে হাতের লেখা আকর্ষণীয় করতে পারবেন ও দীর্ঘক্ষণ লিখতে পারবেন। চেয়ার টেবিলের উচ্চতা সঠিকভাবে থাকলে মেরুদণ্ড সোজা  থাকবে। যার দ্বারা দীর্ঘক্ষণ লিখলেও সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।চেয়ার টেবিলের মধ্যে সঠিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। 
  • সঠিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে যেমনি আরামদায়ক ভাবে লিখতে পারবেন তেমনি লেখা সুন্দর ও আকর্ষণীয় হবে। প্রতিদিন একই ভাবে এবং সঠিকভাবে বসার অভ্যাস তৈরি করার মাধ্যমে। স্থায়ীভাবে অভ্যাস তৈরি করতে পারবেন যার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যাবে। 

হাতের লেখা আকর্ষণীয় করতে স্বাভাবিক গতি বজায় রাখা।

হাতের লেখা আকর্ষণীয় করতে হলে সঠিকভাবে গতি বজায় রাখতে হবে। খুব বেশি তাড়াহুড়ো না করে ধীর গতিতে লিখে হাতের লেখা আকর্ষণীয় করা সম্ভব।হাতের লেখা আকর্ষণীয় করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি অক্ষরের প্রতি মনযোগ  বজায় রাখতে হবে।

 প্রতিটি অক্ষর লেখার সময়ে সঠিক নিয়মে লিখতে হবে। প্রয়োজনে একটা পর্যায়ে সঠিকভাবে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে সেটা আয়ত্ত করা যাবে এবং গতি বাড়ানো সম্ভব হবে। হাতে লেখা আকর্ষণীয় করার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক গতি বজায় রাখার মাধ্যমে এতে প্রতেকটি অক্ষর লিখতে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। 

 হাতের মাংস বেশি নমনীয় করা

মূলত আমরা হাতে লেখার সময় যদি নমনীয় না থাকে তাহলে আমরা ভালোমতো লিখতে পারবো না। এক্ষেত্রে হাতের মাংস বেশি নমনীয় করে জরুরী। আপনি যদি আপনার হাতের মাংসপেশিগুলো নমনীয় করতে চান, তাহলে হাতের ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন লিখার আগ মুহূর্তে হাত মুঠো খোলা এবং বাধা ১০ থেকে ১৫ মিনিটে এমন করা।

 অথবা হাতের মাঝে চেপে ধরা এর মাধ্যমে হাতের মাংসপেশিগুলো নমনীয় হবে। মুঠো এবং খোলার মাধ্যমে হাতের মাংস বেশি নমনীয় হয়। তাছাড়া আমরা চাইলে বল ব্যবহার করতে পারি। যেসব বাউডিং নরম বল গুলো রয়েছে সে বলগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে হাতের মাংস পেশী নমনীয় করা সম্ভব।  লিখার আগ মুহূর্তে মূলত হাতের এই সকল ছোট ছোট ব্যায়ামের দ্বারা সুন্দরভাবে সম্পাদন করার সহজ হবে। 

হাতের লেখার সুন্দর হওয়ার উপকারিতা 

  • হাতের লেখা সুন্দর হবে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে মূলত হাতে দুধ খাওয়ার সুন্দর এর দ্বারা একটি মানুষের ব্যক্তিত্ব ভালোভাবে প্রকাশ পায় আপনি যদি হাতের লেখা সুন্দর করতে পারেন তাহলে আপনি পরীক্ষায় ভালো মার্ক পাবেন হাতে লেখা সুন্দর হলে শিক্ষকরা এর দ্বারা আকৃষ্ট হবে আপনার প্রতি একটি ভাল মনোভাব তৈরি হবে যার মাধ্যমে প্রথম ইমপ্রেশনেই আপনি ভাল মার্ক পেতে সক্ষম হবেন। 
  • আপনার পড়ার বিষয়গুলো সুন্দরভাবে নোট করার মাধ্যমে আপনার পড়াগুলো সহজে মনে রাখতে সহজ হবে। এর দ্বারা পরীক্ষার সময় আপনার পড়াগুলো গোছানো থাকবে।  এ ক্ষেত্রে কষ্ট অনেকটা কমে যাবে। সঠিকভাবে নোট করতে পারলে সেখানেই অর্ধেক  পড়াশোনা সম্পন্ন করা সম্ভব। 
  • আকর্ষণীয় হাতের লিখার মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিত্বের ইতিবাচক প্রতিচ্ছবি প্রকাশ পাবে। এর দ্বারা সকলের কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। এবং আপনি সকল জায়গায় ভাল ভ্যালু ক্রিয়েট করতে পারবেন। 
  •  আপনার হাতের লেখা আকর্ষণীয় হলে সকল ক্ষেত্রে আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। মূলত আত্মবিশ্বাসের কারণে আপনি অনেক কিছু জয় করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে সুন্দর হাতের লেখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

হাতের লেখার সুন্দর না হওয়ার অপকারিতা

  • হাতের লেখা সুন্দর না হলে এর অপকারিতা অনেক। হাতের লেখা যদি সুন্দর না হয় তাহলে শিক্ষক তা বুঝতে পারে না। মূলত ভালোভাবে বুঝতে না পারার কারণে আপনি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন না। তাছাড়াও হাতের লেখা স্পষ্ট না হলে তা দেখতে ভালো লাগবে না। যার কারণে লেখাটি বোধগম্য হবে না। 
  • হাতের লেখা খারাপ হওয়ার কারণে আপনার প্রতি মানুষের নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে। প্রথম ইমপ্রেশনটি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ক্ষেত্রে হাতের লিখা খারাপ হওয়ার অন্যতম একটি অপকারিতা হচ্ছে এর দ্বারা আপনার ব্যক্তিত্বের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। 
  • হাতের লেখা অস্পষ্ট হবার কারণে আপনার লেখার অর্থ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। যার কারণে আপনি যেটা বুঝাতে চান সেটা বুঝাতে সক্ষম হবেন না। যার যার কারণে যোগাযোগের ক্ষমতা কমে যাবে। 

শেষ বিশ্লেষণ হাতের লেখা আকর্ষণীয় করতে প্রতিদিন প্র্যাকটিস করা 

  • আপনি যদি চান আপনার হাতে লেখা স্থায়ীভাবে আকর্ষণীয়  করে তুলবেন। তাহলে প্রতিনিয়ত আপনাকে প্র্যাকটিস করতে হবে। প্রতিদিন আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হাতের লেখা ভালো করার জন্য অনুশীলন করতে হবে।
  •  মূলত প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য অনুশীলন করলে একটা পর্যায়ে হাতের লেখাগুলো আকর্ষণীয় হয়ে যাবে। উপরোক্ত নিয়মগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে মানেন যমন সঠিকভাবে কলম ধরা, চেয়ার টেবিলের অবস্থান ঠিক রাখা, হাতে বেশি চাপ না দিয়ে লেখা, হাত নমনীয় করে লেখা, লেখায় কাটা ছেঁড়া কম করা, অক্ষরগুলো সঠিকভাবে লেখা, লেখার মাঝে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাঁকা জায়গা রাখা ইত্যাদি বিষয়গুলো যদি আপনি ভালভাবে মানতে পারেন । 
  •  এবং তা প্রতিনিয়ত অনুশীলন করতে পারেন। তাহলে আপনি স্থায়ীভাবে আপনার হাতের লিখা আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন। এবং আপনার উদ্দেশ্য সঠিকভাবে সফল করতে পারবেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহায়তা আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url