টাকা সাশ্রয়ের দশটি কার্যকরী কৌশল

পড়তে ইচ্ছে না করলে কি করবেনযদি এক্ষেত্রে আমরা সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে খরচ করি, তাহলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্যটি অর্জন করতে পারবো। এক্ষেত্রে আমাদেরই কিছু নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে, আমাদের শখগুলো পূরণ করা সম্ভব।

টাকা_সাশ্রয়ের_দশটি_কার্যকরী_কৌশল

আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে টাকা সাশ্রয় করে ভবিষ্যৎটা সমৃদ্ধ করতে পারি। এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পদগুলি ক্রয় করতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা টাকা সাশ্রয়ের দশটি কার্যকরী কৌশল গুলো জানব, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমরা এই টাকাগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি। 

পেজ সূচিপত্রঃ টাকা সাশ্রয়ের দশটি কার্যকরী কৌশল

টাকা সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে মাসিক বাজেট পরিকল্পনা করা 

আমরা অনেকে মনে করি উপার্জন করা হয় ভোগের কারণে। এটি ঠিক হলেও,  নতুন কোন সম্পদ ক্রয়ের ক্ষেত্রে টাকার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে মাসিক বাজেট পরিকল্পনা করা জরুরী। আমাদের প্রতিনিয়ত যে খরচ গুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। যেমন ধরুন বিদ্যুৎ বিল, বাচ্চার স্কুলের বেতন, গ্যাস বিল, খাবার খরচ, বাসা ভাড়া যাতায়াত খরচ ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ নতুনদের জন্য ইংরেজি শিখার ১০ টি সহজ উপায়

বিভিন্ন ধরনের খরচ রয়েছে যে খরচ গুলি আমাদেরকে সম্পাদন করতে হয়। এক্ষেত্রে আমাদের উচিত সঠিকভাবে বাজেট প্রনয়ণ করা। মাসের শুরুতেই বাজেট পরিকল্পনা করে কিছু টাকা জমানোর চেষ্টা করুন। ধরুন আপনি ৩০ হাজার টাকা করে মাসে বেতন পান, এক্ষেত্রে প্রতি মাসে যদি আপনি এক হাজার টাকা করে জমান। তাহলে ১২ মাসে ১২০০০ টাকা জমবে।

যা পাঁচ বছর পরে ৬০০০০ টাকা হবে। এই টাকা দিয়ে আপনি চাইলে বাসার জন্য টিভি, ফ্রিজ, বাইক, এয়ারকন্ডিশন ইত্যাদি ক্রয় করতে পারেন। তাছাড়াও বর্তমানে বাজারে সব কিছুর দাম বেশি, যার কারণে বাজেট পরিকল্পনা করা খুবই কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যয়গুলো অবাঞ্চিত সে সকল অবাঞ্চিত ব্যয়গুলো রোধ করুন।

মাসের শুরুতে চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট একটি বাজেট গঠন করা। এবং সেই বাজেট গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন। প্রতিমাসে কিছু টাকা সেভিংস করুন যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আপনি এই টাকাগুলো কাজে লাগাতে পারেন। 

টাকা সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে জরুরী তহবিল গঠন করুন

আমরা মানুষ, আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। গুলোর জন্য আমাদের উচিত জরুরি তহবিল গঠন করে রাখা। প্রতিনিয়ত খরচের কিছু অংশ বাদ রেখে সমন্বয় সাধন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কিছু টাকা করে প্রতিদিন জরুরি তহবিল গঠন করতে হবে। ভবিষ্যতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনি জরুরি তহবিল থেকে অর্থগুলো ব্যয় করতে পারেন।

এর মাধ্যমে আপনার ঋণের বোঝা কমে যাবে। মূলত ঋণ একটি সামাজিক ব্যাধি। আপনি যদি ঋণ নেন তাহলে সুদসহ প্রদান করতে হবে। মূলত এর দ্বারা আপনার খরচ আরো বেড়ে যাবে। এই ক্ষেত্রে যদি আপনি জরুরি তহবিল আগে থেকেই গঠন করে রাখেন। তাহলে বিপদের সময়ে আপনাকে ঋণের প্রয়োজন হবে না।

আপনি আপনার অর্থগুলি দিয়ে আপনার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবেন। যার মাধ্যমে আপনি আর্থিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করতে পারবেন। তাছাড়াও যখন একটি নির্দিষ্ট অর্থ আপনার কাছে থাকবে তখন আপনি মানসিক ভাবেও প্রশস্তি বোধ করবেন। 

মূলত প্রতি মাসে মাসিক আয়ের ১০% করে জরুরি তহবিলের রাখতে পারেন। যে টাকা গুলি পরবর্তীতে কোন বিপদে দরকারে খরচ করতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি আর্থিকভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেন। 

বাড়তি আয়ের উৎস গুলি বের করুন 

দেখা যাচ্ছে, আপনার কাছে অতিরিক্ত কিছু অর্থ রয়েছে। আপনি চাইলে সেই অর্থ দিয়ে একটি জমি ক্রয় করতে পারেন। পরবর্তীতে সে জমিটি বিক্রির মাধ্যমে অধিক পরিমাণে মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ছোটখাটো নতুন ব্যবসাতে ইনভেস্ট করতে পারেন। যেখান থেকে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

তাছাড়াও শেয়ার বাজারের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। যেখানে লাভের পরিমাণও ভালো দিয়ে থাকে। মূলত আপনার জমানো টাকার কিছু অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে এখান থেকে অধিক মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

ধরুন,  আপনি ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলেন। সে ক্ষেত্রে ১০% বা ১০ হাজার টাকা লাভ পেলেন, এক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা বেড়ে গেল। আপনি যদি এক লাখ টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ না করতেন তাহলে এটি বাড়ার কোন সম্ভাবনাই ছিল না। কিন্তু যখন আপনি শেয়ার বাজারে এই টাকাটি বিনিয়োগ করলেন। এর দ্বারা আপনি লাভবান হবেন।

এই অর্থের মাধ্যমে আপনি অধিক অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করবেন। এবং পরবর্তীতে বিনিয়োগের জন্য স্বাধীনতা ফিল করবেন। আস্তে আস্তে এটি যখন অভ্যাস পরিণত হয়ে যাবে তখন আপনি শেয়ারবাজারে বিভিন্ন বিষয়গুলি নিয়ে বুঝতে পারবেন। এবং সে অনুযায়ী অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবেন।যার দ্বারা অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। এবং আর্থিকভাবে স্বাধীনতা ও অর্জন করাও সম্ভব।

আপনার ঋণ গুলো সর্বদা পরিশোধ করুন

মূলত আমরা অনেক সময় অনেক বিপদের কারণে ঋণ গ্রহন করে থাকি। যখন এই বিপদ গুলি আসে তখনই বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়ার জন্য ঋণ গ্রহণ করি। তাছাড়া বর্তমানে অনেক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড দিচ্ছে যেখানে আমরা আমাদের প্রয়োজনমতো ঋণ নিয়ে কোন কিছু ক্রয় করতে পারি। এক্ষেত্রে আমাদের সচেতন থাকা জরুরী এবং ঋণ গুলো সর্বদা পরিশোধ করা জরুরী।

যদি আমরা ঋণ গুলো রেখে দিই পরিশোধ না করি, তাহলে একটা সময় গিয়ে দাঁড়াবে এই দিনের ইন্টারেস্ট বা সুদ অনেক বেড়ে যাবে। যেগুলো দেওয়া আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে সর্বদা উচিত এই ঋণ গুলো পরিশোধ করা। সর্বদা মনে রাখতে হবে কত টাকা ঋণ হয়েছে। এবং সেটি সব সময় পরিশোধ করার চেষ্টা করতে হবে।

মূলত অবাঞ্চিত ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে আমরা আর্থিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করতে পারি। এর দ্বারা আমাদের খরচ কমে যাবে। এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সংযত হই, মূলত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সকলের সতর্ক  হওয়া উচিত।

অপ্রয়োজনীয় অনেক সময় দেখা যায় ক্রেডিট কার্ড থাকার কারণে আমরাও প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে ফেলি। যার দ্বারা পরবর্তীতে ঋণের বোঝা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে সর্বদা চেষ্টা করতে হবে ঋণের সকল বিষয়গুলো মাথায় রেখে খরচ করা। যার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব। 

কম খরচে অথবা বিনামূল্যে বিনোদনের মাধ্যমগুলো বাছাই করুন 

মানুষ সামাজিক প্রাণী। প্রতিদিন কাজ করার মাধ্যমে একটা সময় দেখা দেয় আমাদের কাজ করতে আর ভালো লাগেনা। তখন মূলত আমাদের প্রয়োজন হয় বিনোদনের। এক্ষেত্রে আমরা বিনামূল্যের বিনোদন গুলো গ্রহণ করতে পারি। যেমন ধরুন বিনামূল্যে ভিডিও দেখা এমন জায়গায় যাওয়া যেখানে এমন কোন খরচ হবে না।

কম_খরচে_অথবা_বিনামূল্যে_বিনোদনের_মাধ্যমগুলো_বাছাই_করুন

এক্ষেত্রে খরচ কমানো যেতে পারে, খরচ কমানোর মাধ্যমে আপনি আর্থিকভাবে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। বিভিন্ন বিনোদনমূলক জায়গায় যাবার ক্ষেত্রে আপনার খরচকে মাথায় রাখুন। এমন জায়গা গুলো নির্বাচন করুন যেখানে খরচ তুলনামূলকভাবে কম। এক্ষেত্রে আপনি আপনার খরচ গুলো কমাতে সক্ষম হবেন। বিনোদনের ক্ষেত্রে আপনি চাইলে বই পড়তে পারেন।

বই পড়লে যেমন আপনার জ্ঞানও বৃদ্ধি পাবে, তেমনি আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় বিনোদনের উপভোগ করতে পারবেন। বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আপনি আপনার নিজের শখকে সময় দিন। যখন আপনি আপনার শখ নিয়ে চিন্তা করবেন। তখন আপনার মধ্যে খরচ করার প্রবণতা হ্রাস পাবে।

এবং আপনার শখ মেটানোর অন্য পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ গুলো নিতে পারবেন। এবং বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আপনার শখ নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারেন। যার দ্বারা আপনি ভবিষ্যতে একটি ভালো পর্যায়ে থাকতে পারবেন। 

টাকা সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে অপ্রয়োজনীয় খরচ গুলি থেকে বিরত থাকুন 

মূলত আমরা বিভিন্ন কারণে অনেক খরচ করে থাকি। যে সকল খরচ গুলো অপ্রয়োজনীয় খরচ। এমন খরচ গুলি আমাদের বাদ দেওয়া উচিত। অপ্রয়োজনীয় খরচের মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীনতা পাওয়া হ্রাস পায়। এক্ষেত্রে আমাদের উচিত যেসকল অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিবশন রয়েছে, এইগুলি থেকে বিরত থাকা। যে সকল অপ্রয়োজনীয় বিনোদন গুলি রয়েছে, সে সকল বিনোদন থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা। 

আবার অনেক সময় দেখা যায়, যে সকল সাবস্ক্রিপশন আমরা কিনে রাখি কিন্তু তেমন ব্যবহার করি না। এক্ষেত্রে আমরা চাইলেই সে সাবস্ক্রিপশন গুলি বাদ দিতে পারি। যেগুলি মূলত অব্যবহারযোগ্য অথবা এমন কোন খরচ থেকে বিরত থাকা, যেগুলি লাভের পরিমাণ কম এক্ষেত্রে আমরা আর্থিকভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি। 

স্থায়ী সম্পদের পেছনে খরচ করার ক্ষেত্রে কার্পণ্যতা না করা 

যখন আমরা ওদের বাড়ি তৈরি করব,  সে ক্ষেত্রে ভালো মানের রড, সিমেন্ট, ইলেকট্রিসিটির লাইন, সুইচ, ফ্যান ইত্যাদি  জিনিসগুলো কেনার চেষ্টা করব। যদি আপনি খারাপ মানের রোড বা সিমেন্ট ব্যবহার করেন, তাহলে কিছুদিন পর এর দ্বারা আপনার বাড়ির অতি সাধন হতে পারে। এখানে আবার বড় ধরনের খরচ করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার উচিত বাড়ি বানানোর সময় সঠিক মানের জিনিসগুলো ব্যবহার করা। যার দ্বারা পরবর্তীতে আমাদের খরচ গুলো কমে যাবে । এক্ষেত্রে আমাদের উচিত সবছেয়ে ভালো মানের পণ্য ব্যবহার করা। আবার অনেক সময় দেখা দেয় আমরা বাড়িতে নিম্নমানের রং ব্যবহার করি। যা কিছুদিন পর নষ্ট হয়ে যায়।

এক্ষেত্রে আমাদের উচিত এমন রং ব্যবহার করা যার মাধ্যমে আমরা দীর্ঘদিন সুবিধা পাই। এবং খরচ হ্রাস হয়, এক্ষেত্রে প্রথম দিকে খরচ হলেও দীর্ঘ মেয়াদে সুবিধা পাবার মাধ্যমে সেই খরচ গুলি সম্পদে পরিণত হয়। 

টাকা সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ডিসকাউন্ট সুযোগ গুলো গ্রহণ করা 

অনেক সময় দেখা যায় স্বনামধন্য কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে । তারা তাদের সেল বৃদ্ধি করার জন্য এই সকল ডিসকাউন্ট গুলো দিয়ে থাকে । তোমাদের উচিত এই ডিসকাউন্ট গুলো গ্রহণ করা । যখন তারা এই সকল ডিসকাউন্ট দিবে তখন সে ডিসকাউন্ট গুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে একই জিনিস কম দামে পেতে পারি। 

ধরুন শীতের সময় যখন শীত শেষ হয়ে যায় মুহূর্তে তারা তাদের জ্যাকেটগুলো তাদের বিক্রি করে থাকে। ডিসকাউন্টে বিক্রি করে থাকে এক্ষেত্রে আমাদের উচিত হবে সেই কাপড় গুলো কেনা। যার মাধ্যমে আমরা পরবর্তী বছরে এসে কাপড়গুলো ব্যবহার করতে পারি । এবং টাকাগুলি এবং খরচ হ্রাস করতে পারি।

অন্যদিকে অনেক সময় আমরা দেখি ঈদের সময় বা পুজোর সময় বিভিন্ন কোম্পানির ইস্কন দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এই ডিসকাউন্ট এর আশায় এই ডিসকাউন্ট বলে আমরা গ্রহণ করতে পারি। যার দ্বারা আমাদের খরচ হ্রাস পাবে। অনেক সময় দেখা যায় বাইক কোম্পানিগুলো ফ্রি তে সার্ভিসিং করে দিচ্ছে । এক্ষেত্রে আমাদের উচিত হবে এ সার্ভিসিং গুলো গ্রহণ করা যার মাধ্যমে খরচ গুলো হ্রাস পাবে। 

টাকা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে নিজেকে পুরস্কৃত করুন 

যখন আপনি আপনার সঞ্চার জন্য উদ্দেশ্য ঠিক করবেন পরবর্তীতে যখন দেখবেন আপনি আপনার উদ্দেশ্যে সফল হয়েছেন সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে নিজেকে কিছু করার এর দ্বারা আপনি ভবিষ্যতে আরও সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ হবেন করুন আপনার একটি শার্ট এর প্রয়োজন আপনি অর্থ সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছেন ক্ষেত্রে আপনি নিজেকে সেই শার্ট উপহার দিতে পারেন যার মাধ্যমে আপনার মাঝে আনন্দঅভিভূত হবে এর দ্বারা পরবর্তীতে সঞ্চয়ের জন্য উদ্ভূত হবেন ।

আরো পড়ুনঃ হাতের লেখা আকর্ষণীয় করার ৭ টি গোপনীয় টিপস

এটি মূলত মানুষকে মানসিক দিক দিয়ে উন্নতি করে আপনি যখন মানসিক দিক দিয়ে শান্তিতে অবস্থান করবেন এর মাধ্যমে আপনি তোর জন্য আরও উদ্ভূত হবে মানসিক দিক দিয়ে শান্তি পাবেন যার মাধ্যমে একটা পর্যায়ে সঞ্চয় এর অভ্যাস গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। 

ডিজিটাল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করে সঞ্চয় করা 

আপনি যখন ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব তৈরি করবেন সঞ্চয় হিসেবে একাউন্ট খুলবেন এর মাধ্যমে একটা আপনি সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ হবেন। প্রতিনিয়ত ব্যাংকের একাউন্টে টাকা রাখার মাধ্যমে আপনার সঞ্চয়ের অভ্যাস করে উঠবে । একটা সময় পরে আপনি সঞ্চয়ের দ্বারা উপরের দিকে ধাবিত হবেন।

ডিজিটাল_ব্যাংকিং_সিস্টেম_ব্যবহার_করে_সঞ্চয়

আবার অনেক সময় ব্যাংক সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে আকর্ষিত প্রদান করে থাকে যার মাধ্যমে আপনি সঞ্চয়ের জন্য আকর্ষিত হবেন। তাছাড়াও বর্তমানের রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ক্ষেত্রটা সঞ্চয়ের জন্য আপনাকে বাইরে কোথাও যেতে হবে না। মোবাইল আপনার হাতের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি এতগুলো সঞ্চয় করতে পারবেন । যার দ্বারা সঞ্চয় করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে ।

অনেক সময় দেখা যায় সঞ্চয় করার ক্ষেত্রে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টাকা জমা দিতে হয়। এটি অন্যতম কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ভেতরে যদি আপনি ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেন । এক্ষেত্রে আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিতে হবে না।  বাসায় বসে আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে টাকা সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন যার দ্বারা আপনি সঞ্চয়ে উদ্ভূত হবেন। 

শেষ বিশ্লেষণ সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তুলুন

আমরা সবাই আর্থিকভাবে স্বাধীনতা চাই। আর্থিক দিক থেকে স্বাধীনতা পাওয়া আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এক্ষেত্রে বর্তমানে ভালোভাবে অর্থের ব্যবহার করেও ভবিষ্যতে বা কোন সম্পদ কেনার ক্ষেত্রে অর্থ জমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মূলত আমাদের বিভিন্ন ধরনের শখ রয়েছে। যেমন নতুন বাইক কেনা, বাড়ি বানানো, গাড়ি কেনা,  জমি কেনা, প্রিয়জনকে  কোন কিছু গিফট দেওয়া ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের শখ রয়েছে। যেগুলি আমরা পূরণ করতে চাই। কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি না থাকার কারণে। এবং সঠিকভাবে পরিকল্পনার অভাবে, আমরা তা করতে ব্যর্থ হই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহায়তা আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url